মাইলস্টোন স্কুল ট্র্যাজেডিতে আহত শিক্ষার্থীদের স্বজনরা যখন হাসপাতালে ছোটাছুটি দিশেহারা, তখন এক তরুণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে। হাতে একটি সাদামাটা প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘মাইলস্টোনের আহত বাচ্চার স্বজনদের জন্য ফ্রি বাইক সার্ভিস’।
পোশাক সাধারণ, মুখে ক্লান্তির ছাপ, কিন্তু চোখে স্পষ্ট এক অদৃশ্য দায়বোধের ভাষা। নাম জানতে চাওয়া হলে বহুবার অনুরোধের পর শুধু জানান—‘অপূর্ণ রোবেল’। এর বাইরে তিনি কিছুই বলেন না। কোনো প্রশ্নের জবাব দেন না, কোনো কৃতিত্ব নিতে চান না। শুধু দাঁড়িয়ে আছেন, যেনো চুপচাপ এক প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন—এই ভয়াবহ সময়ে অন্তত কিছু মানুষের পাশে থাকবেন।
রোবেলের এ নিঃশব্দ মানবিকতা যেন প্রতীক হয়ে উঠেছে এই দুর্যোগের দিনে। যখন মৃত্যুর সংখ্যা, নিখোঁজের হিসাব আর হাসপাতালে কান্না-চিৎকারে ঢেকে গেছে পুরো দেশ, তখন এক তরুণ কোনো প্রচার ছাড়াই নিজের বাইকটি ব্যস্ত করে তুলেছেন শুধুই আহত শিশুদের স্বজনদের জন্য।
এই দুঃসময়ে এমন মানুষই যেন আশা দেখায়, মনুষ্যত্বের বাতি এখনো নিভে যায়নি। অপূর্ণ রোবেলের মতো মানুষরা প্রমাণ করে, সাহায্য মানেই অর্থ নয়, অবস্থান নয়—সাহায্য মানে পাশে দাঁড়ানো, এক চিলতে সহানুভূতি দেখানো।
Post a Comment