উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় একে একে নিভে গেল দুই ভাইবোনের জীবন। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়ার মৃত্যুর পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল তার ছোট ভাই, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফি ইসলাম। আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে এ শিশুটি।


আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়ার পারিবারিক কবরস্থানে দুই ভাইবোনের দাফন সম্পন্ন হয়। নিহতের মামা মো. ইমদাদুল হক তালুকদার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দুই ভাইবোনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার বোন ও দুলাভাই দুজনই ভেঙে পড়েছেন। সবার কাছে দোয়া চাই। 


একদিকে ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাবা আশরাফুল ইসলাম নিরব (সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)। জানা গেছে, নাদিয়া ও নাফির গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় বসবাস করত তারা। 


বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নাফি ইসলাম আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। এর আগে, তার বোন তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়া সোমবার মধ্যরাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। পরে ঢাকার কামাড়পাড়া এলাকায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে পরিবারসূত্র জানিয়েছে। 


এর আগে ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।


Post a Comment

Previous Post Next Post