রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে এক পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক তিনটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আসামিরা হলেন- টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।
এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। এদের মধ্যে ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচ দিন ও গত ১৩ জুলাই আলমগীর ও মনিরের চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। গত ১৪ জুলাই সজীব ও রাজিবের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১০ জুলাই প্রথম দফায় ও ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মহিনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সর্বশেষ গত ১৬ জুলাই আসামি নান্নু, রিজওয়ান ও রবিনের সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
Post a Comment