প্রতিদিনের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা স্মার্টফোন কি এবার ইতিহাসের জাদুঘরে জায়গা করে নিতে চলেছে? এলন মাস্ক, বিল গেটস ও মার্ক জুকারবার্গ এমন এক ভবিষ্যতের কথা বলছেন যেখানে স্মার্টফোন থাকবে না, থাকবে আরও উন্নত বিকল্প প্রযুক্তি। তবে অ্যাপল প্রধান টিম কুক এই ধারণার সঙ্গে একমত নন। বরং তিনি মনে করেন, পরিবর্তন হবে ধাপে ধাপে, হঠাৎ কোনো বিপ্লব নয়।


গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোর-কিশোরীর পকেটে জায়গা করে নিয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু প্রযুক্তির দ্রুতগতির বিকাশ এখন প্রশ্ন তুলছে—এই ডিভাইস কি সত্যিই অপরিহার্য থাকবে?


কে কী ভাবছেন: প্রযুক্তি দানবদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি


এলন মাস্ক তার মস্তিষ্ক-যন্ত্র সংযোগ প্রকল্প Neuralink-এর মাধ্যমে এমন এক ভবিষ্যৎ দেখছেন যেখানে শুধু চিন্তার মাধ্যমে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।


বিল গেটস প্রচার করছেন ন্যানোসেন্সরযুক্ত ইলেকট্রনিক ট্যাটু—যা শরীরের তথ্য সংগ্রহ ও সংযোগ স্থাপনে সক্ষম।


মার্ক জুকারবার্গ কাজ করছেন অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস নিয়ে, যা আমাদের বাস্তব জীবনের ভেতরেই ডুবিয়ে দেবে ভার্চুয়াল জগত।


এই তিনজনই মনে করছেন, স্মার্টফোনের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই?


নতুন প্রযুক্তি বনাম বাস্তবতা


এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাগুলো যতই চমকপ্রদ হোক না কেন, টিম কুক দেখছেন একটু ভিন্নভাবে। তিনি বিশ্বাস করেন—নতুন প্রযুক্তির বিকাশ চলবে, তবে স্মার্টফোনও থাকবে তার পাশে। ব্যবহারকারীরা এখনও এটি ভালোবাসেন এবং দৈনন্দিন জীবনে নির্ভরশীল।


তার মতে, ‘পুরোপুরি প্রতিস্থাপন নয়, বরং সহাবস্থানই এখন সবচেয়ে যৌক্তিক পন্থা।’


১৯৯২ সালে প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আসার পর থেকেই এটি বদলে দিয়েছে আমাদের যোগাযোগ, কাজের ধরন ও তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি। ঠিক যেমন একসময় ওয়াকম্যান বা ফ্লিপ ফোন অতীত হয়েছে, স্মার্টফোনও কি তাই হবে?


স্মার্টফোন কি টিকে থাকবে নাকি তার স্থান নেবে চিপ, গ্লাস বা ট্যাটুর মতো পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি?


এখনই তা বলা কঠিন। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত—পরবর্তী কয়েক বছর প্রযুক্তির দুনিয়ায় দিকনির্দেশক হয়ে উঠবে।


সূত্র: https://3dvf.com/en/musk-gates-and-zuckerberg-announce-the-end-of-the-smartphone-but-apples-ceo-does-not-share-their-vision/

Post a Comment

Previous Post Next Post