পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনা থমকে গেলেও আবারও আলোচনার টেবিলে ফেরাতে নতুন করে প্রস্তাব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বের পর আলোচনায় গতি আনতেই এ কৌশল নিয়েছে ওয়াশিংটন।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরানকে আবারও আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব দিয়েছে—তেহরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত থাকে, তাহলে তারা ইরানকে বেসামরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সহায়তা দেবে। এছাড়া জব্দকৃত ৬ বিলিয়ন ডলার তহবিল ছাড় করার ব্যবস্থাও করা হবে।

সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন দখলদার ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের সঙ্গে ১২ দিন যুদ্ধ হয়। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পরমাণু আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ায় ইরান। কিন্তু যুদ্ধকালীন সময় ও যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইরানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের একাধিক বৈঠক হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের মূল শর্ত একটাই ইরান কোনোভাবেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। তবে ইরান বলছে, তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কেবল বেসামরিক কাজেই ব্যবহৃত হবে। এই দাবি আমলে না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউরেনিয়াম ছাড়াই ইরান যেন পরমাণু অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারে, সেজন্য তারা বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ নিশ্চিত করবে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রস্তাব ইরানের জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে এক ধরনের চাপ এবং তেহরান কীভাবে জবাব দেয়, তা মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ ভূরাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।


Post a Comment

Previous Post Next Post