ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলসংলগ্ন কর্মচারী ভবনে আশ্রয় নেন।


শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরপরই তারা সেখানে গিয়ে অবস্থান নেন।


শিক্ষার্থীরা জানান, মুহসীন হলের বিভিন্ন ফ্লোরে প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার আহতও হয়েছেন। নতুন ভবনের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে আপাতত তারা কর্মচারী ভবনেই অবস্থান করবেন।


শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, একটি নিরাপদ হল আমাদের মৌলিক চাহিদা হলেও তা আমরা পাচ্ছি না। মুহসীন হলের স্থায়িত্ব মেয়াদ ২০১০ সালেই শেষ হয়ে গেছে, অথচ ২০২৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভূমিকম্প ছাড়াই হলে নিয়মিত পলেস্তারা খসে পড়ে, তবুও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে তারা কর্মচারী ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।


মুহসীন হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, আমরা মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা জহুরুল হক হলের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ভবনে অবস্থান নিয়েছি। অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও আসেন। আমাদের দাবি আমাদেরকেই আদায় করতে হবে।


রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক সেন্টার জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়, যা ঢাকার আগারগাঁও সিসমিক সেন্টার থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার পূর্বে। ভূকম্পনের অবস্থান ছিল— অক্ষাংশ: ২৩.৭৭° উত্তর দ্রাঘিমা: ৯০.৫১° পূর্ব (মাধবদী, ঢাকা)।


Post a Comment

Previous Post Next Post