বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের মারধরে নিহত আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। কবরের পাশে মোনাজাতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ভিপি। এ সময় আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তারা।


বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামের গোরস্থানে পৌঁছান ভিপি সাদিক ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ। পরে ১১টা পাঁচ মিনিটের দিকে তারা আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর তারা আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহর সঙ্গে মত বিনিময় করেন।


এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে তারা কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এসময় শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ছয় অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। দায়ের হয় হত্যা মামলা। ওই মামলায় সব মিলিয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।


Post a Comment

Previous Post Next Post