ফিলিস্তিনের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।


বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ফিলিস্তিন দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।


রামাদান জানান, ইসরায়েল ও মিত্রদেশগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের কোনো শিক্ষার্থী আর পড়াশোনা করবে না।


ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল ও আমেরিকার টাকায় চলে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা আছে। তাই আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি, ফিলিস্তিনের মেয়েরা এসব প্রতিষ্ঠানে আর পড়বে না। আমাদের মেয়েরা বিক্রির জন্য নয়।’


এ সময় তিনি জানান, ফিলিস্তিনের অনুরোধেই অন্তর্বর্তী সরকার দেশটির নারী শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করেছে।


ইউসুফ রামাদান বলেন, ‘যারা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, তাদের ও তাদের মিত্রদের আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। যদি বাংলাদেশে আমাদের মেয়েদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তা এমন প্রতিষ্ঠানে হতে হবে, যেখানে ইসরায়েলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’


রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করে বলেন, ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের নকশা ইসরায়েলি নাগরিকের করা। তাই সেখানে ফিলিস্তিনের মেয়েরা পড়াশোনা করবে না। আগের সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই ভর্তি প্রকল্প নিয়েছিলেন। তবে ফিলিস্তিনের অনুরোধে বর্তমান সরকার সেখান থেকে সরে এসে পাশে দাঁড়িয়েছে।’


Post a Comment

Previous Post Next Post